1. [email protected] : Staff Reporter : Staff Reporter
মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৩:২৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবরঃ

দেশে বছরে উৎপাদিত হয় ২ হাজার ৫৭ কোটি ডিম

  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২২

দেশে প্রতি বছর ডিমের চাহিদা যেমন বাড়ছে, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে উত্পাদনও। বাংলাদেশে মোট যে পরিমাণ ডিম উত্পাদিত হয়, তার মাত্র ১০ থেকে ১২ শতাংশ উত্পাদন করে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে পরিচিত খামারগুলো। দেশের ৮৮ থেকে ৯০ শতাংশ ডিম আসে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক খামার থেকে। বিষয়টি বিবেচনায় এনে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক খামারিদের ঋণসুবিধার পাশাপাশি মুরগি পালনের প্রশিক্ষণ দেওয়ার তাগিদ পোলট্রি বিশেষজ্ঞদের।

ডিম উত্পাদন বাড়ায় দেশে মানুষের ডিম খাওয়ার পরিমাণও বেড়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) তথ্যমতে, সুস্থ থাকার জন্য প্রত্যেক মানুষের বছরে ন্যূনতম ১০৪টি ডিম খাওয়া প্রয়োজন। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবমতে, ২০২০-২১ অর্থবছরে মাথাপিছু ডিম খাওয়ার পরিমাণ ছিল ১২১টির বেশি।

পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও পাকিস্তানে এখনো ডিম খাওয়ার পরিমাণ আমাদের চেয়ে অনেক কম। ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর সানডে ক্রনিকলের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী ভারতে মাথাপিছু ডিম খেয়ে থাকে ৩০টি। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ এই সংখ্যা ১৮০টিতে উন্নীত করার পরামর্শ দিয়েছে। অবশ্য বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এর চেয়েও অনেকটা এগিয়ে ২০৩১ সাল নাগাদ ডিমের মাথাপিছু কনজাম্পশন ১৬৫টি এবং ২০৪১ সাল নাগাদ ২০৮টিতে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

সরকারি এই পরিসংখ্যানে ডিম বলতে পোলট্রি ডিম, দেশি মুরগির ডিম, হাঁসের ডিম, কোয়েল ও কবুতরের ডিমকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের (বিপিআইসিসি) দেওয়া তথ্যমতে ডায়মন্ড এগ ১৪ থেকে ১৫ লাখ, কাজী ফার্মস ১২ থেকে ১৪ লাখ, প্যারাগন পোলট্রি সাড়ে ৫ থেকে ৬ লাখ, নর্থ এগ সাড়ে ৪ থেকে ৫ লাখ ডিম দৈনিক সরবরাহ করতে পারে। এছাড়া আরো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা দিনে লাখের বেশি ডিম সরবরাহ করে। প্রতি বছর অক্টোবরের দ্বিতীয় শুক্রবার বিশ্ব জুড়ে উদ্যাপিত হচ্ছে ‘বিশ্ব ডিম দিবস’।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সকালেরফেনি.কম
Design & Developed BY HostingNibo