স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের ব্যবহারের সুবিধার জন্য রয়েছে নানা ধরনের অ্যাপ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্লিনিং অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করেন। এসব মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনগুলো গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপল অ্যাপ স্টোরে বিনামূল্যেই পাওয়া যায়।
এই দুটি প্ল্যাটফর্মই সর্বদা ব্যবহারকারীদের স্বচ্ছ অভিজ্ঞতা প্রদানের চেষ্টা করে। এজন্য গুগল ও অ্যাপল নানা সময় নানান পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। এবার ১৫ লাখ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন সরিয়ে নিচ্ছে এই দুই প্ল্যাটফর্ম।
চলতি বছরের শুরুতেই টেক জায়ান্ট সংস্থা দুটি, ডেভেলপারদের অ্যাপ আপডেট সম্পর্কে সতর্ক করেছিল। ওই সময় অ্যাপ্লিকেশন নির্মাতাদের নোটিশ পাঠিয়ে বলা হয়েছিল, যে অ্যাপগুলো আপডেট করা হচ্ছে না সেগুলো প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে।
পিক্সালেটের এক রিপোর্ট বলছে যে, গুগল ও অ্যাপল এই সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে অ্যাপ স্টোর বা প্লে স্টোরের প্রায় ৩০ শতাংশ অ্যাপ রিমুভ করতে পারে। আর এমনটা হলে প্রায় ১.৫ মিলিয়নের কাছাকাছি অ্যাপ চিরতরে নিষিদ্ধ হয়ে যাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, গুগল এবং অ্যাপল তাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে সেই সব অ্যাপ সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যেগুলো বছরের পর বছর ধরে কোনো আপডেট পায়নি। এর মধ্যে এডুকেশন, রেফারেন্স এবং গেমস ক্যাটাগরির অ্যাপও আছে। যা থেকে ৩ লাখ ১৪ হাজার অ্যাপ খুব শিগগির রিমুভ হতে পারে। এই অ্যাপগুলো গত পাঁচ বছরে কোনো আপডেট পায়নি।
অনেকেই ভাবছেন অ্যাপ আপডেট না হলে কি সমস্যা! যে অ্যাপগুলো দীর্ঘদিন ধরে আপডেট হয় না, সেগুলোতে অনেক সিকিউরিটি ইস্যু দেখা যায়। এছাড়াও আপডেট না পাওয়ার কারণে অ্যাপগুলোতে বাগ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকি যদি কোনো ডেভেলপার তার অ্যাপের জন্য বিজ্ঞাপন চান তবে তার অ্যাপটি নিয়মিত আপডেট করা প্রয়োজন।
এরই মধ্যে প্রায় ৫৮% অ্যাপ্লিকেশন অ্যাপ স্টোর থেকে এবং ৪২% অ্যাপ প্লে-স্টোর থেকে সরানো হয়েছে বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে। সংস্থার ওয়ার্নিংয়ের পর গত ৬ মাসে ১৩ লাখ অ্যাপ আপডেট হয়েছে। এক্ষেত্রে কারো ফোনে নিষিদ্ধ অ্যাপ ইন্সটল থাকলে তারা সেটি অ্যাক্সেস করতে সক্ষম হবে বলে সংস্থাগুলো বিবৃতি দিয়েছে।
আগামী ১ নভেম্বর থেকে গুগল প্লে স্টোর এবং অ্যাপলের অ্যাপ স্টোর থেকে আপডেট না করা অ্যাপগুলো রিমুভ করতে শুরু করবে সংস্থা।