সম্প্রতি অরুনাংশু চক্রবর্তী নামক এক নাস্তিক ব্লগারের নাগরিকত্ব বাতিল করে প্রকাশ্যে ফাঁসির দাবি জানিয়ে ঢাকা সহ সারাদেশে পোস্টারিং করেছে হেফাজত-এ ইসলাম এর কর্মীরা। উক্ত ব্লগারকে কুলাঙ্গার দাবি করে হেফাজত কর্মীরা এ পোস্টারিং করেন।
উক্ত পোস্টারে লিখা ছিলঃ “আল্লাহর আইন অমান্যকারী, ব্যভিচারকারী, নাস্তিক, আল্লাহর গজবপ্রাপ্ত, ইহুদি নাসারার এজেন্ট অরুনাংশু চক্রবর্তী এর বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বাতিল করে প্রকাশ্যে ফাঁসি দাও, দিতে হবে।”
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অরুনাংশু চক্রবর্তী একজন নাস্তিক ব্লগার ও অনলাইন এক্টিভিস্ট। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন এবং ব্যক্তিগত ব্লগ সহ বিভিন্ন ম্যাগাজিন ও পাবলিক ব্লগ এ নিয়মিত ইসলাম ধর্ম তথা সকল ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করে লেখালেখি চালিয়ে আসছেন। গত বছর নাস্তিকতা বিষয়ক ম্যাগাজিনে লেখালেখির কারনে তাঁর বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলাও হয়।
এই পোস্টার এর বিষয়ে কথা বলতে চাইলে একজন হেফাজতে ইসলাম কর্মী মাহফুজুল হক বলেন, “এসকল কুলাঙ্গার নাস্তিকরা আমাদের ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করে সারাদেশের সকল মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে। অরুনাংশুর মত নাস্তিক লেখকের কারনে বর্তমান সময়ের যুবকরা ধর্মের পথ থেকে ভ্রষ্ট হয়ে বিপথগামী হচ্ছে। তাদেরকে এর উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার প্রয়োজন আছে।”
হেফাজতে ইসলাম এর আরেকজন কর্মী ফখরুল আলম আনসারী বলেন, “অরুনাংশুকে এর আগে অনেকবার ওয়ার্নিং দেওয়া হয়েছে যাতে করে ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে এসমস্ত বাজে লেখালেখি বন্ধ করে ফেলে, মামলাও হয়েছে কিন্তু তার পরও সে লেখালেখি চালিয়ে গেছে। তার দেখাদেখি বাংলাদেশের জুবসমাজ নষ্ট হচ্ছে। তার এই অপরাধের জন্য তাকে প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে উপযুক্ত দৃষ্টান্ত স্থাপন করা দরকার। আর মনে রাখতে হবে ৯৫ ভাগ মুসলমানের দেশে নাস্তিকদের জন্য কোন স্থান নাই, তাদের সকলকে চিহ্নিত করে বাংলাদেশী নাগরিকত্ব বাতিল করতে হবে। সরকার যদি শীঘ্রই কোন উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেয় তাহলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো”