1. [email protected] : Staff Reporter : Staff Reporter
মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৮:২৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবরঃ

বাংলাদেশে অর্ধেক কারখানা পরিচালনা করছে ডিগ্রিবিহীন কর্মী

  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, ২৫ জুন, ২০২১

বাংলাদেশের বেশির ভাগ শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রযুক্তি ব্যবহারে এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়ে গেছে। ৪০ শতাংশ কারখানা প্রশাসনিক কাজকর্মে হাতে লেখা নথি ব্যবহার করছে। পণ্যের মান যাচাইয়ে ম্যানুয়াল পরিদর্শন পদ্ধতি ব্যবহার করছে চার ভাগের তিন ভাগ প্রতিষ্ঠান। কলেজ পর্যায়ের ডিগ্রি নেই এমন লোক দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে দেশের অর্ধেক উত্পাদন কারখানা। বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ‘গিয়ারিং আপ ফর দ্য ফিউচার অব ম্যানুফ্যক্চারিং ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। এতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, কলেজ পর্যায়ের ডিগ্রি রয়েছে এমন লোক দ্বারা পরিচালিত প্রতিষ্ঠানে তুলনামূলক ১০ শতাংশ বেশি প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে। আন্তর্জাতিকভাবে যোগাযোগ রয়েছে এমন প্রতিষ্ঠানগুলো তুলনামূলক বেশি প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। তবে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে অর্থায়নও প্রয়োজন। বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে (এসএমই) প্রযুক্তি ব্যবহারে প্রয়োজনীয় তহবিলের ঘাটতি রয়েছে। ব্যবসার খরচ কমাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর তদারকি গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলাদেশকে টিকা কেনার টাকা দিল বিশ্বব্যাংকপ্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষ্যে এক ভার্চুয়াল আলোচনার আয়োজন করে বিশ্বব্যাংক। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টিমবন, বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক প্রধান অর্থনীতিবিদ হ্যান্স ট্রিমার, বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বিজিএমইএ এর সভাপতি ফারুক হাসান, সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।

বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টিমবন উল্লেখ করেন, তৈরি পোশাক (আরএমজি) রপ্তানিতে বাংলাদেশের সাফল্য প্রায় ৪০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। সেসঙ্গে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। তবে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অটোমেশনের কারণে এ খাতে কর্মসংস্থানের গতি ধীর হয়েছে। তাছাড়া করোনা মহামারির কারণেও এ খাতের কর্মসংস্থানে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। শ্রমনির্ভর এই খাতে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে।

বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক প্রধান অর্থনীতিবিদ হ্যান্স ট্রিমার বলেন, বাংলাদেশে নারী-পুরুষ অসমতার কারণে বহু সম্ভাবনা কাজে লাগানো যাচ্ছে না। তাদের জন্য ‘লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। তিনি বলেন, উত্পাদনশীলতা বাড়াতে প্রথমে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের প্রতি নজর দিতে হবে। কারণ এখানে প্রযুক্তির ব্যবহারে লাভ বেশি ফিরে আসে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সকালেরফেনি.কম
Design & Developed BY HostingNibo