1. [email protected] : Staff Reporter : Staff Reporter
মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৭:৩৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবরঃ

নির্ধারিত দামে নেই সয়াবিন, অস্থিরতা পেঁয়াজেও

  • আপডেটের সময় : শনিবার, ৫ জুন, ২০২১

মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েও ভোজ্য তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। নির্ধারিত দামে রাজধানীর বাজারে এক লিটারের বোতলজাত সয়াবিন ও পাম সুপার বিক্রি হচ্ছে না।

শুক্রবার ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট পেশের পরের দিন রাজধানীর কাওরান বাজার, শান্তিনগর ও মালিবাগ বাজারে খোঁজ নিয়ে এ তথ্য জানা যায়। সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশও (টিসিবি) তাদের দৈনন্দিন বাজারদরের প্রতিবেদনে নির্ধারিত দরে বোতলজাত সয়াবিন ও পাম সুপার বিক্রি না হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেছে। তাহলে দর বেঁধে দিয়ে কী লাভ—এমন প্রশ্ন তুলেছেন ভোক্তারা।

গতকাল বাজারে এক লিটারের বোতলজাত সয়াবিন কোম্পানি ভেদে ১৪৫ থেকে ১৬০ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতল ৬৫০ থেকে ৭২০ টাকা, খোলা সয়াবিনের লিটার ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা ও পাম সুপার ১১৪ থেকে ১১৬ টাকায় বিক্রি হয়। কিন্তু এক লিটারের বোতলজাত সয়াবিন সর্বোচ্চ ১৫৩ টাকা ও পাম সুপার ১১২ টাকা লিটার বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তবে পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিনের বেঁধে দেওয়া দর ৭২৮ টাকার কমে বাজারে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

গত ২৭ মে ভোজ্য তেলের নতুন এই দর নির্ধারণ করা হয়। যদিও তেল পরিশোধন ও বিপণনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলে ৯ টাকা বাড়ানো হয়েছে বললেও আসলে তারা বাড়ায় ১২ টাকা। কারণ, এর আগে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিনের নির্ধারিত দর ছিল ১৪১ টাকা। লিটারে ৯ টাকা বাড়ালে হয় ১৫০ টাকা। কিন্তু নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয় ১৫৩ টাকা।

দাম বাড়ানোর আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক প্রস্তাবে ব্যবসায়ীদের অ্যাসোসিয়েশনটি জানায়, দেশে চাহিদার ৯৫ শতাংশ ভোজ্য তেল বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। আর আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্য তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। কিন্তু সে হিসেবে দেশে সয়াবিন তেলের দাম তুলনামূলক কম বেড়েছে।

অস্থির পেঁয়াজের বাজার : এদিকে সয়াবিনের পাশাপাশি পেঁয়াজের বাজারও হঠাত্ করে অস্থির হয়ে উঠেছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলেছেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি গত ২৯ এপ্রিল শেষ হয়েছে। এরপর নতুন করে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পাওয়া যায়নি। এর প্রভাব পড়েছে দেশের পেঁয়াজের বাজারে।

গতকাল খুচরাবাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৬০ টাকা ও আমদানিকৃত পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। কিন্তু এক সপ্তাহ আগেও তা ছিল যথাক্রমে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা ও ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা। রাজধানীর অন্যতম পাইকারি বাজার কাওরান বাজারে গতকাল এক পাল্লা (পাঁচ কেজি) দেশি পেঁয়াজ ২৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। এ বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. রহমান বলেন, বাজারে আমদানিকৃত পেঁয়াজের সরবরাহ কম। এ জন্য দাম বাড়তি। তিনি বলেন, ভারত থেকে নতুন করে পেঁয়াজ আসছে না। পেঁয়াজ আসা শুরু হলেই দাম কমে যাবে।

বেড়েছে ডিম ও ময়দার দাম : দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে ডিম ও ময়দাও। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি হালি ফার্মের ডিমে দুই টাকা বেড়ে ৩২ থেকে ৩৩ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ময়দার কেজিতে বেড়েছে দুই থেকে চার টাকা। গতকাল বাজারে প্রতি কেজি খোলা ময়দায় চার টাকা বেড়ে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা ও প্যাকেট ময়দায় দুই টাকা বেড়ে ৪২ থেকে ৪৬ টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সকালেরফেনি.কম
Design & Developed BY HostingNibo