1. [email protected] : Staff Reporter : Staff Reporter
বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবরঃ
২০২৫ সালের শেষে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে: প্রধান উপদেষ্টা বিজয় দিবসে ওয়েস্ট ইন্ডিজে বিজয় কেতন উড়াল বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস লেখা হয়নি: বদরুদ্দীন উমর গুম-খুনের অভিযোগে ক্ষমা চেয়ে আয়নাঘরের কথা স্বীকার করলেন র‍্যাব ডিজি ঐক্যের ডাক হাসনাত আব্দুল্লাহর দেশের জন্য ক্ষতিকর চুক্তি বাতিলের দাবি করা হয়েছে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদা রক্ষার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য চলমান অপচেষ্টা নতুন বাংলাদেশের যাত্রায় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তার রমেন রায়ের ওপর হামলার ঘটনাটি পুরোনো, তিনি চিন্ময়ের আইনজীবী নন

কিস্তি না দিলে জুন পর্যন্ত খেলাপি হবে না ঋণ

  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, ২০ মার্চ, ২০২০

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষতি মোকাবিলায় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো, জানুয়ারি থেকে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত কেউ ঋণের কিস্তি দিতে না পারলে তাকে খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত করা যাবে না। এ ছাড়া রপ্তানির অর্থ প্রত্যাবাসন ও আমদানি পণ্য দেশে আনার সময়সীমা বৃদ্ধি, সাপ্লায়ার্স ও বায়ার্স ক্রেডিট এবং রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) ঋণ পরিশোধের সময়সীমাও বাড়ানো হয়েছে। অন্যদিকে বিশেষ নীতমালায় পুনঃতফসিল করা ঋণের প্রভিশন সংরক্ষণেও ব্যাংকগুলোকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ সংক্রান্ত আলাদা তিনটি সার্কুলার জারি করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ববাণিজ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। আমদানি-রপ্তানিসহ দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে করোনাভাইরাসের কারণে চলমান বিরূপ প্রভাবের ফলে অনেকেই সময়মতো ঋণের অর্থ পরিশোধে সক্ষম হবেন না বলে ধারণা করা যাচ্ছে। ফলে চলমান ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এবং দেশে সামগ্রিকভাবে কর্মসংস্থান বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় গত ১ জানুয়ারি ঋণের শ্রেণিমান যা ছিল আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত, তার চেয়ে বিরূপ মানে শ্রেণিকরণ করা যাবে না। তবে কোনো ঋণের শ্রেণিমানের উন্নতি হলে তার উন্নতি দেখা যাবে। বিদ্যমান নিয়মে কোনো ঋণের কিস্তি ৬ মাস মেয়াদোত্তীর্ণ হলে তিনি খেলাপি হিসেবে বিবেচিত হন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে এসব সুবিধা দেওয়া ঠিক আছে। তবে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা যেন সুবিধা পায়, তার তদারকি করতে হবে। একই সঙ্গে দেখতে হবে, এই সুযোগ নিয়ে ব্যবসায়ীরা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য যেন মজুদ না করে। দাম বাড়ানোর হাতিয়ার হিসেবে কেউ যেন এ সুযোগ কাজে না লাগায়। আর শুধু এসব উদ্যোগ নিলে হবে না। এসবের পাশাপাশি ঋণ প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর ওপর জোর দিতে হবে। বেশ কিছুদিন ধরে ব্যাংকগুলোতে তারল্য কমে যাওয়ায় বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি কমছে। কর্মসংস্থান ধরে রাখতে বেসরকারি খাতে ঋণ বাড়ানোর ওপর জোর দিতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা আমাদের প্রতিবেদককে বলেন, করোনার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা তৈরি হওয়ায় ঋণ পরিশোধ না করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। যে কারণে আগাম সতর্কতা হিসেবে মূলত ব্যবসায়ীদের সুবিধার জন্যই এ সার্কুলার জারি করা হয়েছে। তবে সক্ষমতা থাকলেও কেউ যেন ঋণ পরিশোধ থেকে বিরত না থাকেন- ব্যাংকগুলোকে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের অপর এক সার্কুলারের মাধ্যমে রপ্তানির অর্থ দেশে আনার সর্বোচ্চ সময়সীমা ১২০ দিন থেকে বাড়িয়ে ১৮০ দিন করা হয়েছে। একই সঙ্গে আমদানি পণ্য দেশে আনার সময়সীমাও বাড়িয়ে ১৮০ দিন করা হয়েছে। এতদিন এলসির দেনা পরিশোধের পর সর্বোচ্চ ১২০ দিনের মধ্যে পণ্য দেশে আনার বাধ্যবাধকতা ছিল। পাশাপাশি স্বল্প মেয়াদি বিদেশি ঋণ পরিশোধের সময়সীমা ১৮০ দিন বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যমান নিয়মে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই ব্যাংকগুলো এক বছরের বাকিতে মূলধনী যন্ত্রপাতি ও বিদ্যুৎ খাতের পণ্য আমদানি করতে পারে। আর শিল্পে ব্যবহূত কাঁচামালসহ অন্যান্য পণ্য সর্বোচ্চ ৬ মাসের বাকিতে আনা যায়। তবে উভয় ক্ষেত্রে ৬ মাস বৃদ্ধির ফলে এক বছর এবং দেড় বছর সময় পাচ্ছেন রপ্তানিকারকরা। এ ছাড়া রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল-ইডিএফের ঋণ পরিশোধের সময়সীমা তিন মাস বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে ৬ মাস মেয়াদে ঋণ নেওয়া যায়। পরে সময় বাড়িয়ে ৯ মাস করা যায়। এ নির্দেশনা আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এ সংক্রান্ত অন্যান্য নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে।
অপর এক সার্কুলারের মাধ্যমে ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে পুনঃতফসিল করা খেলাপি ঋণের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণে ব্যাংকগুলোকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। আগের সার্কুলারে বলা হয়েছিল, বিশেষ নীতিমালায় পুনঃতফসিল করা ঋণ এসএমএ মানে শ্রেণিকরণ করতে হবে। আর এসব ঋণের বিপরীতে শতভাগ প্রভিশন রাখতে হবে। প্রকৃত আদায় তথা ঋণের যে পরিমাণ আদায় হবে; আনুপাতিক হারে রক্ষিত প্রভিশনের সে পরিমাণ আয় খাতে নেওয়া যাবে। গতকালের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বিশেষ নীতিমালায় পুনঃতফসিল করা ঋণের বিপরীতে ৫০ শতাংশ হারে প্রভিশন রাখতে হবে। যদিও এসব ঋণ এসএমএ মানে শ্রেণিকরণের নির্দেশনা অপরিবর্তিত রয়েছে। ব্যাংকগুলোর মূলধন সংরক্ষণ বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সকালেরফেনি.কম
Design & Developed BY HostingNibo