1. [email protected] : Staff Reporter : Staff Reporter
রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:০৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবরঃ
মোটরসাইকেল মালিক হান্নানের বিভ্রান্তিকর তথ্য: গুলির ঘটনায় অগ্রগতি সুদানে ইউএন ঘাটিতে হামলায় নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় প্রকাশ ডিপ কোমায় থাকায় হাদির চিকিৎসার সিদ্ধান্ত দেশের বাইরে নেওয়ার প্রস্তুতি উত্তরায় জুলাই রেভেলসের সদস্যের ওপর হামলায় গ্রেপ্তার ২ হাদিকে গুলির ঘটনায় মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রচারের অভিযোগে মামলা লক্ষ্মীপুর নির্বাচন কার্যালয়ে গভীর রাতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা নলছিটিতে ওসমান হাদির গ্রামের বাড়িতে চোরের Brazen অপবিত্রতা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে হাদির পরিবারের সাক্ষাৎ, চিকিৎসার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানালেন, হাদির হামলাকারীদের ধরিয়ে দিলে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার আসিফ মাহমুদ সরকারের কঠোর কর্মসূচি দাবি করেছেন

করের আওতায় গুগল, ফেসবুক ও ইউটিউব

  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, ৮ জুন, ২০১৮

বাংলাদেশে ফেসবুক, ইউটিউব ও গুগলকে করের আওতায় আনার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৩৫ শতাংশ উৎসে কর দিতে বলা হলেও কীভাবে তা আদায় করা হবে তা প্রস্তাবনায় উল্লেখ করেননি তিনি। বৃহস্পতিবার (৭ জুন) জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন তিনি। এতে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ভার্চুয়াল ও ডিজিটাল লেনদেনের মাধ্যমে অনেক বিদেশি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে বিপুল অর্থ আয় করছে। এ সত্ত্বেও তাদের কাছ থেকে আমরা তেমন একটা কর পাচ্ছি না। ভার্চুয়াল ও ডিজিটাল লেনদেনের বিষয়টি তুলনামূলক নতুন হওয়ায় এসব লেনদেনকে করের আওতায় আনার মতো পর্যাপ্ত বিধান এতদিন আমাদের কর আইনে ছিল না। এবার তাই ভার্চুয়াল ও ডিজিটাল খাত যেমন- ফেসবুক, গুগল, ইউটিউব ইত্যাদির বাংলাদেশে অর্জিত আয়ের ওপর করারোপের জন্য আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চার আলোকে প্রয়োজনীয় আইনি বিধান সংযোজনের প্রস্তাব করা হলো।’
অন্যদিকে অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিংয়ের (উবার, চলো, পাঠাও ইত্যাদি) ভাড়ার ওপর ৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আরোপের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। সেবা গ্রহীতাকে এই কর গুনতে হবে। তবে অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলোকে উৎসে কর দিতে হবে। যারা এসব সেবায় তাদের গাড়ি দেবেন তাদের টিআইএন (ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর) থাকতে হবে।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের পঞ্চম বাজেট এটি। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটির বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন অর্থমন্ত্রী। এর মধ্যে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ২ লাখ ৯৬ হাজার ২০১ কোটি টাকা।

বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ ভবনে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য এই বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এরপর মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পাওয়া প্রস্তাবিত বাজেটে সম্মতিসূচক স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

এবারের বাজেটে মোট রাজস্ব প্রাপ্তি ও বৈদেশিক অনুদান ৩ লাখ ৩৯ হাজার ২৮০ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক রাজস্ব প্রাপ্তির লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৯৬ হাজার ২০১ কোটি টাকা। এনবিআর বহির্ভূত কর ৯ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা। কর ব্যতিত রাজস্ব প্রাপ্তি ৩৩ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা। বৈদেশিক অনুদান ৪ হাজার ৫১ কোটি টাকা। এডিপি ধরা হয়েছে ১ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকা ও ঘাটতি ১ লাখ ২১ হাজার ২৪২ কোটি টাকা। এদিকে নিট ঋণ ধরা হয়েছে ৫০ হাজার ১৬ কোটি টাকা এবং অভ্যন্তরীণ ঋণ ৭১ হাজার ২২৬ কোটি টাকা।

বাজেটে জিডিপি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৬ শতাংশে রাখার প্রত্যাশা রয়েছে অর্থমন্ত্রীর। বাজেটে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ খাতে।

নতুন বাজেটের আকার ২০১৭-১৮ অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় ৬৪ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা বেশি। আর ২০১৭-১৮ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় এর আকার ৯৩ হাজার ৭৮ কোটি টাকা বেশি। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের মূল বাজেটের আকার চার লাখ ২৬৬ কোটি টাকা, সংশোধিত বাজেটের আকার তিন লাখ ৭১ হাজার ৪৯৫ কোটি টাকা।

নতুন বাজেটে ঘাটতি মেটাতে অর্থমন্ত্রী বৈদেশিক উৎস থেকে মোট ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছেন ৬০ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা। সেখান থেকে ১০ হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা বিদেশি ঋণ পরিশোধ বাবদ খরচ হবে। সরকারের নিট বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে ৫০ হাজার ১৬ কোটি টাকা। ঘাটতির বাকি ৭১ হাজার ২২৬ কোটি টাকা নেওয়া হবে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে। এর মধ্যে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া হবে ৪২ হাজার ২৯ কোটি টাকা, সঞ্চয়পত্র থেকে নেওয়া হবে ২৬ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা। বাকি ৩ হাজার কোটি টাকা আসবে অন্যান্য উৎস থেকে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সকালেরফেনি.কম
Design & Developed BY HostingNibo