1. [email protected] : Staff Reporter : Staff Reporter
সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৯:৩৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবরঃ

জোড়াতালি দিয়ে চলছে বিসিবিঃ ক্রীড়া উপদেষ্টা

  • আপডেটের সময় : সোমবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) কয়েকটি বড় বদল এসেছে। কয়েকদিনের মধ্যেই নির্বাচিত করা হয় নতুন সভাপতি, পরিবর্তন আসে দুটি পরিচালক পদে। কয়েকজন সরে দাঁড়ানোর পর আত্মগোপনে থাকা বেশ কয়েকজন হারান পরিচালক পদ। ২৫টির মধ্যে ১৫টি পরিচালকের পদ শূন্য হওয়ায় ফারুক আহমেদের নেতৃত্বাধীন বোর্ডের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়াটা কঠিন হয়ে পড়েছে।

বিসিবিতে বর্তমানে সর্বসাকূলে ১০ জন পরিচালক আছেন। একেকজনকে সামলাতে হচ্ছে কয়েকটি করে বিভাগ। সংস্কারের সঙ্গে স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে নিতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে বর্তমান বোর্ড। অবস্থা বিবেচনায় এটাকে ‘জোড়াতালি’ বলা হচ্ছে, যা মেনে নিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও। বিসিবি জোড়াতালি দিয়ে চলছে; কদিন আগে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুলের এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ক্রীড়া উপদেষ্টা এ বিষয়ে কথা বলেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষ্যে রোববার সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা। বুলবুলের মন্তব্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘যখন দায়িত্ব নিই, তখন বিসিবির লোকজনকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছিল না। নতুন পরিচালক নিয়োগের মাধ্যমে স্থবিরতা কাটানোর চেষ্টা চলছে।’

‘এ ছাড়া প্রতিটি ফেডারেশনের জবাবদিহিতা নিশ্চিতে প্রতি বছর কার্যক্রমের রিপোর্ট ও অডিট রিপোর্ট দেওয়া হবে। কেউ যদি দুর্নীতি করে সেটাও খতিয়ে দেখা হবে। তবে ফুটবলসহ বেশ কিছু ফেডারেশন স্বায়ত্তশাসিত। তাই সেখানে সরকারের হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। এটা বাস্তব যে বিসিবি জোড়াতালি দিয়ে চলছে। বিসিবিতে নতুন পরিচালক নিতে হবে।’ যোগ করেন তিনি।

গত ৩০ অক্টোবর বিসিবির বোর্ড সভায় সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, ইসমাইল হায়দার মল্লিক, তানভীর আহমেদ টিটো, শেখ সোহেল, আ জ ম নাছিরসহ ১১ জন পরিচালকের পদ বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। টানা তিনটি বোর্ড সভায় অনুপস্থিত থাকায় পদ হারান  তারা। বিসিবি গঠনতন্ত্র অনুযায়ীই তাদের অপসারণ করা হয়। বিসিবিতে শূন্য হওয়া ১৫টি পরিচালক পদের মধ্যে ১১ জন পদ হারিয়েছেন, তিনজন পদত্যাগ করেছেন এবং একজন মারা গেছেন।

গত সেপ্টেম্বরে এক সঙ্গে ৪২টি ফেডারেশনের সভাপতিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ফেডারেশনগুলোর পুনর্গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘বিভিন্ন কমিটি নিয়ে যে অভিযোগ আছে, তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যেখানে স্থবিরতা আছে, সেখানে নতুন কমিটি করে সংকট সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা ফেডারেশনগুলোকে প্রতি বছরের হিসাব দিতে বলেছি। আপনারা (সাংবাদিকরা) ফেডারেশনগুলোকে এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করতে পারেন।’

তিন টেস্ট ভেন্যু মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের সংস্কার ও উন্নয়নের ব্যাপারে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘স্টেডিয়ামগুলো সরকারের অধীনে। তাই এর রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কার আমাদের দায়িত্ব বলে মনে করি। ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের দেনাপাওনার বিষয় থাকলে সেটি আমরা আলাদাভাবে দেখব।’

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সকালেরফেনি.কম
Design & Developed BY HostingNibo