1. [email protected] : Staff Reporter : Staff Reporter
শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:২১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবরঃ

পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারে কংগ্রেস কার্যালয়ে বিজেপির হামলা ও সংঘর্ষ

  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বিহার রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় কংগ্রেস কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পেছনে বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মূল কারণ হিসেবে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তার প্রয়াত মাকে অবমাননাকর মন্তব্যের জেরে এই ঘটনা সংঘটিত হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত ভিডিও সূত্রে দেখা যায়, দুই দলের কর্মীরা দলীয় পতাকার ডন্ডা দিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালাচ্ছেন। এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তবে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। পুরো ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক নিন্দা জানিয়েছে কংগ্রেস।

ঘটনার সূচনায়, অভিযোগ উঠেছে যে, ভোটের প্রচার চলাকালে দরভাঙ্গায় এক কংগ্রেস কর্মী প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে অশালীন মন্তব্য করেন, যা ধরা পড়ে ভিডিওতে। এর ঠিক পরে বিজেপি থানায় এফআইআর দায়ের করে এবং কংগ্রেস নেতাদের ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানায়।

দরভাঙ্গা পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা আরও জানিয়েছে যে, মামলার নথি ঢুকানো হয়েছে এবং আসামিকে আদালতে উপস্থাপন করা হবে।

বিহারেও এই ঘটনা নিয়ে উত্তজনা দেখা দিয়েছে। পাটনায় বিজেপি আজ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানায়। অন্যদিকে, কংগ্রেস কর্মীরাও মঞ্চে উঠে প্রতিরোধ প্রকাশ করেন। উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কায় বিশাল পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও, এখনও পুরো এলাকা উত্তেজনাপূর্ণ রয়ে গেছে।

আবার, কলকাতার জাতীয় কংগ্রেসের সদরদপ্তর বিধান ভবনের সামনে শুক্রবার বিক্ষোভ সমাবেশ করে বিজেপি। সেখানে অভিযোগ ওঠে, কিছু বিজেপি সমর্থক কংগ্রেস কার্যালয়ে ঢুকে ভাঙচুর চালায় এবং অগ্নিসংযোগ করে। নেতৃস্থানীয় বিজেপি নেতাদের নেতৃত্বে বিভিন্ন ব্যানার-পোস্টার ছেড়ে দেওয়া হয়।

এমনকি, রাহুল গান্ধীর ছবিসহ বিভিন্ন ব্যানারও সেখানে দেখা গেছে। এ ঘটনার পক্ষে প্রদেশ কংগ্রেস নিন্দা জানিয়েছে এবং এন্টালি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেসের মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায় বলেন, “রাজনীতিতে দেউলিয়া না হলে এ ধরনের কাজ কেউ করে না। দেশের স্বার্থে কংগ্রেস চেষ্টা করছে; কিন্তু বিজেপি আমাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে আকাশে ভাসছে। তারা এই ধরনের কাজ করছে যখন দপ্তর ফাকা ছিল। আমরা প্রশাসনের কাছে ডেম্যান্ড করছি, দোষীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”

বিহার কংগ্রেসের নেতা অশুতোষ অভিযোগ করেন, ঘটনাগুলির মদদ দিচ্ছে রাষ্ট্রক্ষমতা। তিনি বলেন, “নীতীশ কুমার ভুল করেছেন, আমাদের জবাব দিতে হবে।”

অন্যদিকে, বিজেপি নেতা নীতিন নবীন হুঁশিয়ারী দিয়ে বলেন, “মায়ের অপমানের বদলা বাংলার প্রতিটি সন্তান নেবে। আমরা অবশ্যই এর জবাব দেব।”

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কড়া ভাষায় নিন্দা জানিয়ে লিখেছেন, “রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের রাজনীতি নিচে নেমে গেছে। একজন গরিব মায়ের ছেলে ১১ বছর ধরে দেশ চালিয়ে যাচ্ছে, যা মানা যায় না। প্রধানমন্ত্রী ও তার প্রয়াত মাকে নিয়ে এই ভাষা লজ্জাজনক এবং গণতন্ত্রের জন্য কলঙ্ক।”

বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা বলেন, “এ ধরনের অশালীন আক্রমণ চরম অগ্রহণযোগ্য। রাহুল গান্ধী ও তেজস্বী যাদবের ক্ষমা চাওয়া উচিত।”

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী ও তার প্রয়াত মাকে অবমাননা করা অনুচিত। আমি এর কড়া প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সকালেরফেনি.কম
Design & Developed BY HostingNibo