1. [email protected] : Staff Reporter : Staff Reporter
রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ১২:১৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবরঃ
উপকূলে ঝড়ের আশঙ্কা, সতর্কতা জারি সিদ্ধিরগঞ্জে ফ্রিজের কম্প্রেসার বিস্ফোরণে নারী-শিশুসহ ৯ দগ্ধ উত্তরা বিমান দুর্ঘটনায় এক মাসের মধ্যে আরও এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু নির্বাচনমুখী জনগণই ষড়যন্ত্র কাজ করবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের পূর্বাভাস, টানা বর্ষণ হতে পারে সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা হতে পারে রোববার বা সোমবার পূর্বাচলে সাগর-রুনির ছেলে মেঘের জন্য জমির দলিল হস্তান্তর ইসির ইউটিউব চ্যানেল উদ্বোধন ও এআই বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বার্তা আল্লামা সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষী সুখরঞ্জন বালির অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগ শর্ত পূরণ না হলে নির্বাচন নয়: জামায়াত

কক্সবাজার থেকে ৯০০ কিলোমিটার দূরে মোখা

  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, ১২ মে, ২০২৩

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। বঙ্গোপসাগরের মধ্য ও এর পাশে দক্ষিণপূর্ব এলাকায় অবস্থান করছে ঝড়টি। শুক্রবার (১২ মে) ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগের ১১ নম্বর বুলেটিনে বলা হয়, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি আরও শক্তিশালী হচ্ছে। এটি ঘণ্টায় ১৫ কিলোমিটার গতিতে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

কক্সবাজারে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে সমুদ্রের পানির উচ্চতা। একারণে সমুদ্রে হাঁটু পানির নিচে পর্যটকদের নামতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে জেলা প্রশাসন। তবে ৪ নম্বর সংকেত জারি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্রে নামা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হবে।

২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেতের মধ্যেই শুক্রবার (১২ মে) বেলা ২টা ৪০মিনিট থেকে ৪টা পর্যন্ত মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। আকাশ কালো মেঘে ঢাকা ছিল। তবে তেমন বাতাস দেখা যায়নি।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান জানিয়েছেন, মোখার প্রভাবে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। থেমে থেমে আবারও হতে পারে। শুক্রবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টি কক্সবাজার সমুদ্র উপকূল থেকে ১০২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে। সন্ধ্যা নাগাদ সিগনাল পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে বলে জানান তিনি।

মোখার কারণে সাগর স্বাভাবিক পরিস্থিতির চেয়ে কিছুটা উত্তাল রয়েছে বলে জানিয়েছেন সৈকতের নিরাপত্তায় নিয়োজিত সি সেফ লাইফ গার্ড সংস্থার সিনিয়র লাইফ গার্ডকর্মী মোহাম্মদ শুক্কুর। তিনি বলেন, পর্যটকদের সতর্ক করতে লাল পতাকা টাঙানো হয়েছে। আর পর্যটকদের হাঁটুপানির নিচে নামতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী, চার নম্বর সংকেত হলে সৈকতের পানিতে নামা বন্ধ করা হবে।

কক্সবাজার জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘সেন্টমার্টিন ও কক্সবাজার পুরো জেলার জন্য আমাদের সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা সেই অনুযায়ী কাজ করছি। সেন্টমার্টিন থেকে ইতোমধ্যে ২ থেকে ৩ হাজার মানুষ টেকনাফে চলে এসেছে। বাকি ৭-৮ হাজার মানুষের জন্য ১৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে উদ্ধারকাজে হেলিকপ্টারও ব্যবহার করার নির্দেশনা রয়েছে।’

‘পুরো কক্সবাজার জেলার প্রায় ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হচ্ছে। এ ছাড়া প্রয়োজন হলে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার ভবনগুলো (যেখানে খাবার পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা আছে) আশ্রয় কাজে যাতে ব্যবহার করতে পারি, সেই প্রস্তুতি চলছে’, বলেন জাহাঙ্গীর আলম।

তিনি আরও জানান, প্রতিটি উপজেলায় সরকারি উদ্ধারকারী দলসহ চার থেকে পাঁচ শ জন স্বেচ্ছাসেবক আছেন। উদ্ধার কাজসহ জানমালের ক্ষতি এড়ানোর জন্য তাদেরকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। উপজেলা প্রতি ৫-৬টি মেডিকেল টিমকে ইতোমধ্যে এলার্ট করা হয়েছে।

মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, উখিয়া ও টেকনাফের ৩২টি রোহিঙ্গা শিবিরে বসবাসরত ১০ লাখ মানুষের জন্য বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সেখানে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সতর্কতা গ্রহণ করা হচ্ছে।

‘রোহিঙ্গা শিবিরের ঘরগুলো নিচু, তাই বাতাসে তেমন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা বেশি হলে ক্ষতিও বেশি হতে পারে। তবে এই ১০ লাখ মানুষকে অন্য জায়গায় স্থানান্তরের কোনো ব্যবস্থা বা অনুমতি আমাদের নেই’, যোগ করেন তিনি।

মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় সরকার থেকে আমাদের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বলা রয়েছে। সেই মোতাবেক আমারা যথাযথ প্রস্তুতি নিচ্ছি। ইতোমধ্যে আমরা ১১ লাখ টাকা, ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার ও ৪০ টন চাল বিভিন্ন উপজেলায় পাঠিয়েছি।’

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সকালেরফেনি.কম
Design & Developed BY HostingNibo