1. [email protected] : Staff Reporter : Staff Reporter
বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ খবরঃ
২০২৫ সালের শেষে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে: প্রধান উপদেষ্টা বিজয় দিবসে ওয়েস্ট ইন্ডিজে বিজয় কেতন উড়াল বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস লেখা হয়নি: বদরুদ্দীন উমর গুম-খুনের অভিযোগে ক্ষমা চেয়ে আয়নাঘরের কথা স্বীকার করলেন র‍্যাব ডিজি ঐক্যের ডাক হাসনাত আব্দুল্লাহর দেশের জন্য ক্ষতিকর চুক্তি বাতিলের দাবি করা হয়েছে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদা রক্ষার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য চলমান অপচেষ্টা নতুন বাংলাদেশের যাত্রায় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তার রমেন রায়ের ওপর হামলার ঘটনাটি পুরোনো, তিনি চিন্ময়ের আইনজীবী নন

‘ব্যান হবে, সেন্সর হবে, এর মধ্যে কথা বলে যাব’

  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৮

‘ঠান্ডা গোশত’ গল্পের জন্য আদালতে যেতে হয়েছিল উর্দু ভাষার লেখক সাদত হাসান মান্টোকে। জরিমানা হয়েছিল ৩০০ রুপি। লেখকদের ওপর এমন নিপীড়ন এখনো বন্ধ হয়নি। এমনকি বিশ্বব্যাপী ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে বাক্স্বাধীনতাকে। কিন্তু সৃজনশীল মানুষ থেমে থাকতে পারে না। ঢাকা আন্তর্জাতিক সাহিত্য উৎসবের প্রথম দিনে মান্টো ছবি প্রদর্শনী শেষে আলোচনায় বলেন নির্মাতা নন্দিতা দাস।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে ছিল হিন্দি ছবি মান্টোর বাংলাদেশে উদ্বোধনী প্রদর্শনী। ছবিটি গত কান চলচ্চিত্র উৎসবের সম্মানজনক বিভাগ আঁ সার্তে রিগার বিভাগের জন্য আনুষ্ঠানিক মনোনয়ন পেয়েছিল।

ছবি শেষে তাঁর পরিভ্রমণ নিয়ে কথা বলেন বলিউড অভিনেত্রী ও পরিচালক নন্দিতা দাস। বই সেন্সর করা হলে লেখকদের করণীয় কী, জানতে চান এক তরুণ লেখক। নন্দিতা দাস বলেন, ‘ব্যা ন হবে, সেন্সর হবে, এর মধ্যেই আমরা কথা বলে যাব।’ মান্টো নির্মাণের সময় তসলিমা নাসরিনের কথা মাথায় ছিল কি না, জানতে চান এক নবীন নারী নির্মাতা। নন্দিতা বলেন, ‘তসলিমারা ছড়িয়ে আছে সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। বিভিন্ন ভাষায় তাঁরা লিখে যাচ্ছেন। আমি তাঁদের একজনকে নিয়েই ছবি বানিয়েছি।’

ছবি প্রদর্শনীর আগে মঞ্চে এসে নন্দিতা জানান, ‘ভারতের বাইরে এ ছবির এটিই প্রথম পাবলিক শো। ২০১২ সালে প্রথম ঢাকায় এসেছিলাম পারফরমার হিসেবে, এবার এলাম নির্মাতা হয়ে।’ তিনি বলেন, ‘আগে ভাবতাম, লোকে কেবল হলে গিয়ে ছবি দেখুক। এখন দেখার মাধ্যাম বেড়েছে। আমি মনে করি, যেখানে খুশি সেখানে ছবি দেখেন। গল্পটা মানুষের কাছে পৌঁছাক।’

মান্টো ছবি প্রসঙ্গে নন্দিতা বলেন, কলেজে পড়াকালীন তিনি মান্টোর গল্প পড়েন। ২০১২ সালে নতুন করে তাঁকে আবিষ্কার করেন। লেখকের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ চার বছরের (১৯৪৭-১৯৫০) ঘটনাগুলো সিনেমায় তুলে ধরতে চেয়েছেন। আলোচনার সঞ্চালক অ্যানি জায়িদির বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে মান্টো নিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা, পাঠ ও নির্মাণের নানা দিক তুলে ধরেন এই নির্মাতা। আর মান্টো চরিত্রে নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকীকে নেওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘তিনি (নওয়াজুদ্দিন) একজন জাত অভিনেতা। তা ছাড়া তাঁর সঙ্গে আমার “টিউনিংটা” ভালো। তাঁর ওপর আস্থা রাখা যায়।’

আজ শুক্রবার বেলা সোয়া ১১টায় একই মিলনায়তনে ‘ব্রেকিং ব্যা ড’ অধিবেশনে কথা বলবেন নন্দিতা দাস ও মনীষা কৈরালা।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সকালেরফেনি.কম
Design & Developed BY HostingNibo